নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে গত মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। এ অবস্থায় দেশের সব থেকে বড় দুই পাবলিক পরীক্ষা-প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট (পিএসসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা এ বছর বাতিল করার কথা ভাবছে সরকার।
আজ মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন দেশের গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শুধুমাত্র এ বছরের জন্য পঞ্চম শ্রেণির (পিএসসি) ও ইবতেদায়ির শিক্ষা সমাপনী এবং অষ্টম শ্রেণির জেএসসি পরীক্ষা বাতিলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিতে সার-সংক্ষেপ পাঠানো হচ্ছে। তবে দুই সমাপনী বাতিলের সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা জানান, গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের বৈঠকে এ বছর করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দু’টি বাতিলের প্রাথমিক আলোচনা হয়। প্রতিবছর নভেম্বরে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনীতে প্রায় ৩০ লাখ এবং অষ্টমের দুই সমাপনীতে আরও ২০ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। সব মিলিয়ে দেশের বিশাল সংখ্যক পরীক্ষার্থী এ দুই পরীক্ষায় অংশ নেয়।
দুই সমাপনী বাতিল করা হলেও স্কুল খোলার পর বার্ষিক পরীক্ষার মাধ্যমে এ বছর মূল্যায়ন করা হবে বলে জানান কর্মকর্তারা। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। কয়েক দফা বাড়িয়ে আগামী ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পাঠদানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের জন্য সংসদ টিভি এবং বেতারে ক্লাস পরিচালনা ছাড়াও উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষায় অনলাইনে পাঠদানের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
অপরদিকে, ক্ষতি পোষাতে চলতি শিক্ষাবর্ষ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আগেই আভাস দিয়েছে দুই শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিতে একাধিক বিকল্প মাথায় রেখে এগোচ্ছে সরকার। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর।